Thursday, May 17, 2018

মানিকগঞ্জ এ চলছে সর্বনাশা পর্নো ভিডিও’র মহোৎসব

মানিকগঞ্জ এ চলছে সর্বনাশা পর্নো ভিডিও’র মহোৎসব
মানিকগঞ্জ এ সর্বনাশা পর্নো ভিডিও’র মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা প্রকাশ্যে না এলেও আঙ্গুল দিয়ে কম্পিউটারের দোকানকে দেখাচ্ছেন। অভিযোগ, অধিকাংশ কম্পিউটারের দোকানে আলাদা হার্ডডিস্কে পর্নো ভিডিও সংরক্ষণ করে সেখান থেকে আপলোড ব্যবসা চালাচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা। শহরের পাড়া, মহল্লা ও অলিগলিতে হাত বাড়ালে মিলছে এসব পর্নো সিডি ও মেমরি কার্ড। এ নিয়ে অভিভাবকদের অনেকে সন্তান নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ তৎপরতার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, এ সব পর্নো ভিডিওচিত্র বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটির বখে যাওয়া একশ্রেণির শিক্ষার্থীদের তৈরি করা। কৌশলে বা প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করেও ভিডিওচিত্র তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাজারে। যা বিক্রি হচ্ছে চরা মূল্যে। বেশিরভাগ পর্নো ভিডিও মোবাইল ফোনসেটে ধারণ করা। বিভিন্নচক্র অর্থের বিনিময়ে কম্পিউটার দোকানে এ সব সরবরাহ করছে। তাদের মতে, বাইরের পর্নোর চেয়েও নাকি এমন ভিডিওচিত্রের চাহিদা বেশি। বিভিন্ন সূত্রের তথ্যানুযায়ী, মানিকগঞ্জ শহরে একশরও বেশি দোকানে অতি গোপনে বিক্রি হচ্ছে এসব সিডি ও মেমরি কার্ড। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রয়েছে এসব বিক্রির অনেক দোকান। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে কম্পিউটারে আলাদা হার্ডডিস্কে এ সব পর্নো ভিডিও লুকিয়ে রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মানিকগঞ্জ থানার কয়েক গজের মধ্যে পুকুর পাড়েও মিলছে এগুলো। মডেল থানার বিপরীতে মার্কেটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। নামকরা দোকান , দুধ বাজার মার্কেট, পৌরসভা মার্কেট সহ আশে পাশের মোবাইল ফোনের দোকান সমুহেও প্রকাশ্যে চলছে পর্নো চিত্র বিতরণ । মাত্র ৪০-৫০ টাকায় মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় পর্নো সিডি। মেমরি কার্ডে দিতে নেওয়া হয় ২০ টাকায়। ছাত্র, শ্রমিক থেকে শুরু করে সব বয়সের লোকদের ভিড় থাকে এখানে। উঠতি বয়সের মেয়েরাও আসে এসব দোকানে। মোবাইল, টেলিফোন সেট বিক্রির আড়ালে দোকানিরা পর্নো ছবি বিক্রি করে। গান ও ছায়াছবি বিক্রির আড়ালে পর্নো সিডি বিক্রি হয়।

প্রথমবার চলচ্চিত্রে সালমান শাহকে নিয়ে গান

প্রথমবার চলচ্চিত্রে সালমান শাহকে নিয়ে গান প্রথমবার চলচ্চিত্রে সালমান শাহকে নিয়ে গান (ভিডিও) বাংলা চলচ্চিত্রের যুবরাজ প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে জয় করে নিয়েছিলেন কোটি দর্শকের মন। মৃত্যুর এত বছর পরও যেন বিন্দু মাত্র ম্লান হয়নি তার জনপ্রিয়তা। আর তাই তো তাকে নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে নির্মাণ হলো ‘তুমি নাম্বার ওয়ান হিরো’ শিরোনামের গান। তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফির প্রথম চলচ্চিত্র ‘পোড়ামন টু’ ছবিতে সালমান শাহকে নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে গান। ‘তুমি নাম্বার ওয়ান হিরো’ শিরোনামের গানটির কথা লিখেছেন প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। নিজের সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন আকাশ সেন। নৃত্য পরিচালনা করেছেন জয়েশ। ছবিটিতে নায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ সিয়ামের। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি। বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকালে ‘তুমি নাম্বার ওয়ান হিরো’ শিরোনামের গানটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পর পরই বেশ সারা ফেলেছে গানটি। আসছে ঈদুল ফিতরে ‘পোড়ামন টু’ মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্ম মার্কেটে সিনেমাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছে সিনেমাটি।

Wednesday, May 16, 2018

চলে গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকা।



মরে গিয়ে বরং বেঁচেই গেলেন কোরআনের হাফেজা আফিয়া সিদ্দিকা । বিশ্বের একমাত্র নিউরো সায়িন্টিস্ট পাকিস্তানি নাগরিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন আফিয়া।

২০০৩ সালে প্রথমে কিডন্যাপ করা হয় ড. আফিয়াকে। এ কিডন্যাপিংয়ে সহায়তা করে খোদ পাকিস্তান সরকার। গুম করে রাখা হয় ২০০৮ পর্যন্ত। নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান টর্চার সেলে। চলতে থাকে দিনের পর দিন গণ ধর্ষণ। তাকে উলঙ্গ করে কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে বলা হত, যাও! কুরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে এসো। ড. আফিয়া সেটি করতে পারতেন না। কারণ, তিনি মুসলমান এবং তিনি কুরআনকে ভালবাসতেন। ৩০ পারা কুরআন তার বুকে ছিল। তিনি একজন হাফেজাও ছিলেন। ফলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যেত।

২০০৮ সালে তাকে নিয়ে সাজানো হল মূল নাটক। এক মার্কিনী খ্রিষ্টান সেনা হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হল। শুরু হয় বিচারিক প্রহসন।
আমেরিকান আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষণা করে!

ড. আফিয়াকে আল-কায়েদার সাথে জড়িত সাজিয়ে ইউএস আদালত যখন সাজা দেয়, সাথে দেয় গণ ধর্ষণের অলিখিত লাইসেন্স তখন বিশ্ববিবেক গা ভাসায় স্রোতের অনুকূলে আর মানবতার ধ্বজাধারীরা বসে থাকে মুখে কুলুপ এটে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ার চোখ এড়িয়ে যায় এ দিকটা। আরব্য মুসলিম শাসকগণ তো আগ থেকেই হাতে চুড়ি আর পায়ে দাসত্বের বেড়ি পরা। দেখতে থাকে, বুঝতে থাকে আর গাইতে থাকে মনে মনে, তুমি চোর হইয়া চুরি করো আর পুলিশ হইয়া ধরো, সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝারো!

একজন নারী, একজন মুসলিম সাইন্টিস্ট কুরআনে হাফেজাকে নিয়ে বিশ্ব মোড়লরা মেতে উঠলো নোংরা খেলায়। একদিকে ওরা কাউকে খুবলে খায় আর অন্যদিকে নিত্যনতুন মানবতার বুলি আওড়ায় ! তাতেও ছয়’শ কোটি মানুষের এ পৃথিবীতে দেড়’শ কোটি মুসলমানের এ দুনিয়ায় কেউ কিছু বললো না!

ড. আফিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচারিক রায় ঘোষণার সময় তাকে কিছু বলতে বলা হলে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন : আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেফ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার! আপনার কাছে কিছুই বলবার নেই আমার। আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি, যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণকরা হয়েছিলো। আমাকে ছেড়ে দিন। আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।

সেই আফিয়া মারা গেলেন অবশেষে। আমি বলি মারা যাননি, আসলে তিনি বেঁচেই গেলেন। ২০০৩ থেকে মরে ছিলেন তিনি। আর আজ মৃত্যুর মাধ্যমে বরং বেঁচে গেলেন তিনি। তাকে আর খুবলে খাবে না পিশাচের দল! তাকে আর বিবস্ত্র করে বলা হবে না, যাও কুরআনের উপর পা রেখে কাপড় নিয়ে এসো গিয়ে!
উফ! কী অসহ্য যন্ত্রনার-ই-না ছিলো নয়’টি বছর! এই বছরগুলোতে কি অসভ্য খেলাই না খেলেছিল মানবতার দাবীদাররা !

কি অপরাধ ছিল আমার বোন আফিয়ার?
বিশ্বের একমাত্র স্নায়ূ বিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকা’র মূল অপরাধ ছিল তিনি এতো উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কুরআনের প্রতি ঝুঁকে ছিলেন কেনো? কুরআন থেকে কেন রেফারেন্স টানতেন?

১৯৯৩ সালের একটি ভিডিও ক্লিপের সৌজন্যে আমার সুযোগ হয় একুশ শতকের এ হযরত সুমাইয়ার বক্তব্য শোনার। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম আমার বোনের কথাগুলো। কুরআনের একটি একটি আয়াত তেলাওয়াত করে বৈজ্ঞানিক সূত্রে কথা বলছিলেন তিনি। তিনি বলছিলেন, ইসলাম হলো নারীর সুরক্ষক। ড. আফিয়া সিদ্দিকার বক্তব্যের অংশ ইউটউব থেকে দেখতে পারেন।

মানুষটিকে ওরা মেরে ফেলল তিলে তিলে। অকথ্য নির্যাতন করে। বিশ্ব মিডিয়া চেপে গেলো খবরটি সেই প্রথম থেকেই। ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক চিঠিতে মুসলিম জাতিকে তিনি ঘুমন্ত মৃত জাতি বলে সম্ভোধন করে কিছু আক্ষেপের কথা বলেছিলেন।
বলে ছিলেন, আমি আর তোমাদের সাহায্যের আশা করি না। আমি তোমাদের বোন না। তোমরা কেউ মুহাম্মদ বিন কাসেম না। আমি আমার আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই, আর কারো কাছেই না। আফিয়া মিথ্যে বলেননি মোটেও।

ওদিকে আফিয়ার উপর চলতে থাকলো পৈশাচিক নির্যাতন। কেউ কিছু বললো না।
কিন্তু কথা তো এখানেই শেষ হতে পারে না।
এদের বেলায় মানবতা নিরব কেনো? নাকি বিশ্ব সভ্যতার ঠিকাদার কর্তৃক অসভ্যতা চললে সেটাকে অসভ্যতা বলতে হয় না!

মারা গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকা। নয় নয়টি বছর লাগাতার ধর্ষণ আর নির্যাতনের সাথে সাথে তার শরীরে ক্যান্সারের বীজও পুতে দিয়ে ছিলো সভ্যতার মুখোশপরা মার্কিনী নরপশুরা। শারীরিক আর মানসিক যন্ত্রনার দু:সহ নারকীয় একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো।

বুকে কুরআন নিয়ে মাথা উচু করেই বিদায় নিলেন আফিয়া। চলে গেলো বোনটি আমার। আমরা তাকে বাঁচাতে পারলাম না। তার চে’ দু:খজনক হল বাঁচানোর চেষ্টাটা পর্যন্ত করলাম না। কেউ বললাম না ড. আফিয়া যদি অপরাধ কিছু করেই থাকেন, নিরপেক্ষ আদালতে তাঁর বিচার হতে পারে (যদিও জানি না সেটি কোন গ্রহে আছে)। কিন্তু বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস ও কোরআনের হাফিজা একটি মেয়েকে এভাবে বছরের পর বছর আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা আর নির্যাতন করা তো কোনো সভ্য পৃথিবীতে চলতে পারে না! হায়রে সভ্যতা! হায়রে মানবতা!

 হায়রে সভ্যতা! হায়রে মানবতা!

আজকাল মানুষে আর পশুতে কোন পার্থক্য নেই । আফিয়াকে ওরা মেরে ফেলেছে তিলে তিলে। কারণ, আফিয়া ছিলেন উচ্চ শিক্ষিতা, নিউরো সাইন্টিস্ট।
তবু ওরা কী চায়, কীভাবে চায়, বিশ্ব বিবেক তবুও বুঝে না। নাকি বুঝেও বুঝে না! তবে একটি ব্যাপার বুঝতে পারছি। আমাকে অনেকগুলো চুড়ি কিনতে হবে বিশ্বের দেড়’শ কোটি মুসলমান নেতৃবৃন্দকে পরিয়ে দেবার জন্য। এ ছাড়া আমার আর কী বা করার আছে!

কুরআনের অনুসারী হয়ে ছিলেন বলে মক্কার মুশরিকরা হযরত সুমাইয়াকে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে রেখে অকথ্য নির্যাতন করতো। আগেই জানানো হয়েছে আফিয়া ইস্যূতে মিডিয়া নিরব! তাই তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারেও পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে না কোনো কিছূ।
ড. আফিয়ার মৃত্যু সংবাদটি সঠিক হলে আর তিনি মারা যেয়ে থাকলে ইতোমধ্যে নিশ্চই সুমাইয়ার হাত ধরে বসে আছেন। তাহলে ভাল আছেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব মুসলিম ভালো থাকবে কেমন করে? আর ওপারে যেয়েই বা কী জবাব দেবে? আফিয়া তো চলে গেলেন! বিশ্ব বিবেকের গালে চপেটাঘাত করে।

একজন আফিয়া এভাবে নিষ্পেষিত হয়ে বিদায় নিলো আমাদের চোখের সামনে। কেউ কিছু বললো না! কেউ কিছু করলো না! বুঝতে পারছি না ধিক্কার আমি কাকে দেবো? কারন আমি নিজেই তো আজ নিন্দিত!!!

চাঁদ দেখা যায়নি, শুক্রবার থেকে রোজা।


আজ বুধবার (১৬ মে) বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে শুক্রবার থেকে রমজান মাসের শুরু হবে। হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্ম বিষয়কমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বুধবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। হিজরি সনের রমজানকে পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য করে থাকে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়। মাসজুড়ে রোজা রাখার পর উদযাপন করে ঈদুল ফিতর।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান,বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুক্রবার থেকে রমজান মাসের শুরু হবে।

এদিকে রমজান মাসে খতম তারাবি পড়ার সময় সারাদেশে সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বলা হয়েছে, রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত না করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে কর্মজীবী- যারা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন, তাদের পক্ষে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে, অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম, পীর-মাশায়েখ, খতিব-ইমামদের সঙ্গে আলোচনা হলে তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন এবং সে মোতাবেক অধিকাংশ মসজিদে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এই অবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতম তারাবিতে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরে কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তারাবি নামাজ ২০ রাকাত, যা রাসুলুল্লাহ্ (সা.) ও সাহাবিরা আমল করেছেন। ইসলামের প্রথম যুগ থেকে ওলামা ও ফকিহরা তা অনুসরণ এবং মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববীসহ সারাবিশ্বের মুসলমানরা এভাবেই তা পালন করে আসছেন। সেই সঙ্গে তারাবিতে কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।

সুত্রঃ বিডি২৪লাইভ